আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে টানা দশ দিন ধরে চলা শ্রমিক অস্থিরতার কারণে প্রায় ৫০টি কারখানা কাজ বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ অনুযায়ী, বেআইনি ধর্মঘটের কারণে শ্রমিকদের মজুরি প্রদান করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। শিল্প অঞ্চলের ব্যাপক অস্থিরতা আশুলিয়ায় ব্যবসায়িক কার্যকলাপে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে, এবং এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হয়েছে।
বিজিএমইএ এবং শিল্প পুলিশের তথ্য মতে, বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন নেতার আশ্বাস দিলেও শ্রমিকরা কাজে ফিরে আসছেন না। এর ফলে শিল্প মালিকদের উপর চাপ বাড়ছে, এবং তারা এই সংকটের সমাধানের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। সংঘাত এবং শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের প্রতিষ্ঠানগুলি ক্রমাগতভাবে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছে, যা বৈশ্বিক বাজারে তাদের স্থান ক্ষুণ্ন করতে পারে।
শ্রমিক নেতাদের মতে, উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় তৃণমূল শ্রমিক নেতাদের অংশগ্রহণ অপ্রতুল, যা সংঘাতের সমাধানে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শ্রমিক নেতারা এই সংকটের সমাধানে আরও অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরছেন।
এই পরিস্থিতিতে, ব্যাপক শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে বহিরাগত ও কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠীর ভূমিকা প্রকাশ পেয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর মতে, এসব উস্কানিদাতাদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের এই শ্রমিক অসন্তোষ একটি জটিল ও বহুমুখী সমস্যা যা তাৎক্ষণিক সমাধান চেয়ে বসে আছে, এবং এর সমাধানে সকল পক্ষের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।