ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কিত একটি জটিল শেয়ার ম্যানিপুলেশনের ঘটনায় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যুক্ত ছিল, যারা বেক্সিমকোর শেয়ারের মূল্য স্ফীতি ঘটিয়ে ব্যাপক লাভের মুখ দেখেছে। এর ফলে অনেকে রিয়েলাইজড ও আন-রিয়েলাইজড গেইন অর্জন করেছে।
এই ঘটনা বাংলাদেশের স্টক মার্কেটের নিয়ম ও নীতি লঙ্ঘনের এক স্পষ্ট উদাহরণ। বিশেষত, স্টক মার্কেটের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা রক্ষায় সিকিউরিটিজ আইনের প্রয়োজনীয়তা এবং তার প্রয়োগের গুরুত্ব পুনরায় প্রমাণিত হয়। এই ধরনের ঘটনা বিনিয়োগকারীদের আস্থা হানি করে এবং মার্কেটের সামগ্রিক স্থিতিশীলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
বিনিয়োগকারীদের একটি গ্রুপ যেভাবে নিজেদের মধ্যে শেয়ার কেনাবেচা করে ভুয়া সক্রিয় ট্রেডিং দেখিয়েছে, তা আইনের পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ এবং এটি সিকিউরিটিজ আইন 1969 এর বিভিন্ন ধারার লঙ্ঘন। এর ফলে একটি কৃত্রিম ও মিথ্যা বাজার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যা বাজারের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে।
এই তদন্ত প্রতিবেদন সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির জন্য একটি জরুরি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করে। এটি দেখায় যে সঠিক নিয়মনীতি ও সুষ্ঠু পরিচালনা ছাড়া কিভাবে কিছু ব্যক্তি বা গ্রুপ বাজারকে ম্যানিপুলেট করতে পারে এবং ব্যাপক আর্থিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। বাজারের সুশাসন ও স্বচ্ছতার বজায় রাখা এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এ ধরনের তদন্তের প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ পায়।